ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে মসজিদের নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা, র‌্যাবের অভিযানে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্মাণাধীন মসজিদের নৈশ প্রহরী কামাল মিয়া (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা এলাকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতক মো. ওমান মিয়া ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওহিদ মিয়ার ছেলে।

অন্যদিকে নিহত কামাল মিয়া ভৈরবের ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঘোড়াকান্দা এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসজিদের নৈশ প্রহরী ছিলেন।

প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার সাথে মাদক ব্যবসায়ী ওমান ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।

এই পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৩টায় ওমানের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাম দা, বল্লাম, চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

এ সময় তাদের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা।

এতে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়া গুরুতর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন ২ ফেব্রুয়ারি দুপর সাড়ে ১২টায় কামাল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় মো. ওমান মিয়া, মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া, আহসান উল্লাহসহ মোট ২৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা (নং-০৪, তারিখ-০২/০২/২০২২ খ্রি., ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার দিনই ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া ও আহসান উল্লাহ এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

তাদের মধ্যে মুক্তাদির ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওহিদ মিয়ার ছেলে, ফরহাদ মিয়া কমলপুর পঞ্চবটির মারফত আলীর ছেলে, সাজন মিয়া একই এলাকার রতনের ছেলে এবং আহসান উল্লাহ একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে।

এছাড়া প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে ধরার জন্য র‌্যাব নিরবিচ্ছিন্ন তৎপরতা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা এলাকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে ভৈরব থানায় হস্থান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভৈরবে মসজিদের নৈশ প্রহরীকে কুপিয়ে হত্যা, র‌্যাবের অভিযানে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৯:১১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নির্মাণাধীন মসজিদের নৈশ প্রহরী কামাল মিয়া (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা এলাকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতক মো. ওমান মিয়া ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওহিদ মিয়ার ছেলে।

অন্যদিকে নিহত কামাল মিয়া ভৈরবের ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঘোড়াকান্দা এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসজিদের নৈশ প্রহরী ছিলেন।

প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার সাথে মাদক ব্যবসায়ী ওমান ও তার সহযোগীদের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।

এই পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৩টায় ওমানের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাম দা, বল্লাম, চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

এ সময় তাদের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা।

এতে কামাল মিয়া ও জাকির মিয়া গুরুতর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয়কেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন ২ ফেব্রুয়ারি দুপর সাড়ে ১২টায় কামাল মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় মো. ওমান মিয়া, মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া, আহসান উল্লাহসহ মোট ২৩ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা (নং-০৪, তারিখ-০২/০২/২০২২ খ্রি., ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার দিনই ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাদির, ফরহাদ মিয়া, সাজন মিয়া ও আহসান উল্লাহ এই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

তাদের মধ্যে মুক্তাদির ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ওহিদ মিয়ার ছেলে, ফরহাদ মিয়া কমলপুর পঞ্চবটির মারফত আলীর ছেলে, সাজন মিয়া একই এলাকার রতনের ছেলে এবং আহসান উল্লাহ একই এলাকার মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে।

এছাড়া প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে ধরার জন্য র‌্যাব নিরবিচ্ছিন্ন তৎপরতা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা এলাকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের একটি অপারেশনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি মো. ওমান মিয়াকে ভৈরব থানায় হস্থান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানিয়েছেন।